স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানির ওপর থেকে সমুদয় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার। এর কারনে বাজারে বিভিন্ন স্যানিটারি ন্যপকিনের দাম কমার আশংকা রয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) অর্থমন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সোমবার (১ জুলাই) গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন এসআরও জারির ফলে এ বছর স্যানিটারি ন্যাপকিন-প্যাডে নতুন করে কোনো ভ্যাট বসছে না। গত বছরের ১৫ শতাংশ ভ্যাটই বহাল থাকছে।
এ বছর স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামাল আমদানিতে ৪০ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ছিল আগের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ। দুইদিকেই ভ্যাট আরোপ করার ফলে জরুরি প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রভাব পড়ে। ফলে উচ্চমূল্যে এই পণ্যটি কিনতে হচ্ছিল।
বর্তমান দেশের বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্যানিটারি ন্যাপকিন পাওয়া যায়। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে, স্যানিটারি ন্যাপকিনের উচ্চমূল্যের কারণে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ নারী ঋতুকালীন সময়ে প্যাড ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন তারা।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর থেকে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদ। কোথাও কোথাও পালিত হয় মানববন্ধন কর্মসূচিও। নারী স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি পণ্যে ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের দাবি তোলেন প্রতিবাদকারীরা। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য উন্নত ওয়াশরুম এবং ইমারজেন্সি প্যাড কর্নার চালুর দাবিও জানান তারা।