আপনি যদি গুহায় বসবাস না করেন তাহলে আপনি কিছুটা হলেও জানেন কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হয়। সবুজ শাক-সবজি খাওয়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা বা এলকোহল না খাওয়া হচ্ছে সুস্থ জীবনযাপনের একদম প্রথম পদক্ষেপ।
সঠিক সময়ে ঘুমানো, ব্যায়াম করা ও দুশ্চিন্তা কম করা হচ্ছে সুস্থ থাকার অন্যান্য মূল উপাদান। কিন্তু এগুলো লেখা যতটা সহজ বা মনে ধারণ করা যতটা সহজ, এগুলো নিয়মিত পালন করা মোটেই ততটা সহজ নয়। আমরা কতজন এগুলো সত্যি সত্যি বাস্তবে করতে পারি?
১. খেতে হবে প্রাকৃতিক খাবার: আপনার ডায়েটে থাকা উচিত সবজি, ফলমূল, টার্কি ও মুরগির মতো চর্বিহীন মাংস এবং পরিমিত পরিমাণ ভাত, রুটি বা অন্যান্য খাদ্যশস্য। মসলাযুক্ত খাবার ও চর্বিযুক্ত মাংস একদম এড়িয়ে চলুন।
২. সময় পেলেই হাঁটুন: হেঁটে যাওয়া যায় এমন দূরত্বে রিকশা বা গাড়ির পরিবর্তে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যখনই একটু অবসর সময় পাবেন তখন পার্কে বা ফুটপাতে হাঁটুন এবং ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলুন।
৩. এলকোহল থেকে দূরে থাকুন: এলকোহল এড়িয়ে চললে আপনার লিভার ও মানিব্যাগ দুটোই ভালো থাকবে। সুস্থ জীবনও পাবেন আবার টাকাও বাঁচবে।
৪. বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান: অফিসের সময় দুপুরে বাইরে না খেয়ে বাসা থেকে লাঞ্চ নিয়ে যান। এক্ষেত্রেও আপনি দুটো সুবিধা পাবেন। একদিকে টাকা বাঁচবে অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের অস্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে না।
৫. ছুটি নিন: জীবনটা শুধুই মুখ বুজে মাথা নিচু করে কাজ করার জন্যে নয়। নিয়মিত বিরতিতে ছুটি নিন এবং আবার ছুটি শেষে পূর্ণ উদ্যমে কাজে সময় দিন।
৬. নেতিবাচক চিন্তা করবেন না: সবসময় ইতিবাচক থাকুন এবং দেখবেন আপনার চারপাশের সবকিছুই আস্তে আস্তে আরো ভালো হচ্ছে।
৭. ঝামেলাযুক্ত সম্পর্কের ইতি টানুন: এই ধরনের সম্পর্কগুলো আমাদের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এগিয়ে যেতে হলে এসব সম্পর্ক পেছনে ফেলেই এগিয়ে যেতে হবে।
৮. প্রযুক্তির জালে ফাঁসবেন না: বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিদিনের জীবন প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। কিন্তু একাধারে ডিজিটাল মাধ্যমে ডুবে থাকাটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বিরতি নিন।
৯. শারীরিক কার্যক্রম বাড়ান: হতে পারে তা সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো। কিন্তু এই কাজগুলোই আপনাকে মানসিক ক্লান্তি থাকে মুক্তি দেবে।
১০. পড়ুন: যেকোনো কিছু পড়ুন। পড়া আমাদের ব্রেইনের জন্যে উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করে।
১১. নতুন শখ তৈরি করুন: পারিবারিক ও পেশার কাজের বাইরে এমন কিছু করুন যা করতে আপনার ভালো লাগে।
১২. মানুষ কি ভাববে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না: আপনি যা, দিনশেষে আপনি তাই-ই। অন্যেরা কী ভাবছে তা নিয়ে আপনার এনার্জি খরচ করার দরকার নেই। নিজের মৌলিক গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলো ধরে রাখুন এবং সবার কাছে আকর্ষণীয় একজন মানুষ হয়ে উঠুন।